আমাদের ব্লগ

আধুনিক লেদার প্রযুক্তির সূচনা হয়েছিল মুসলমানদের হাতে
আধুনিক লেদার প্রযুক্তির সূচনা হয়েছিল মুসলমানদের হাতে

একাদশ শতাদ্বীর মুসলিম কারিগরদের হাতে লেদার বা চামড়া তৈরির প্রযুক্তি উন্নতি সাধিত হয় । এ শিল্পটি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বড় প্রভাব বিস্তার করে । লেদার প্রযুক্তিতে মুসলিম প্রবর্তিত রীতিই উনিশ শতক পর্যন্ত বিশ্বে চালু ছিল এবং ।

মুসলিম আমলে চামড়াকে ট্যানিং করতে নিন্মোক্ত তিনটি পদ্ধতিই অনুসরণ করা হতো-

১. তেল সহযোগ প্রক্রিয়াজাতকরণ (Chamoising)

২. খনিজ লবন সহযোগ প্রক্রিয়াজাতকরণ (Tawing)

৩. উদ্ভিজ্জ ট্যানিং

এখানে খনিজ লবন সহযোগ প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতিটি মুসলমানরা অনেক গুরুত্বের সাথে ব্যাবহার করতেন । এই ট্যানিং পদ্ধতিতে লবণ, ফিটকিরির সাথে মেশানো হতো বার্লি, ময়দা এবং ডিমের পীতাংশ যা চামড়া ট্যানিংয়ের পর চামড়াতে দেয়া হতো । তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্যানিং বলে বিবেচিত হতো উদ্ভিজ্জ ট্যান এর উপাদান সহযোগে ট্যানিং করা । ছাগলের চামড়া ট্যান করতে ইয়েমেন থেকে আমদানিকৃত ক্বারাজ (Mimosa Nilotica) সবছেয়ে জনপ্রিয় ছিল । আরও বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিজ্জ এর সাথে যোগ করা হতো ।

স্পেনের কর্ডোভাতে উৎপাদিত লেদারের সুনাম গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল । স্পেনের মুসলমানরা পতঙ্গের শূঁড়-নিঃসৃত দ্রব্য এর ডাইং করে চমৎকার উজ্জ্বল লাল রং এর লেদার তৈরি করতো । উনবিংশ শতাদ্বী পর্যন্ত কর্ডোভান, মরক্কোন লেদার বাজারের সেরা ব্যান্ডগুলোর অন্যতম ছিল ।

তখন যে সব চামড়াজাত দ্রব্য তৈরি হতো সেগুলো ছিল জুতা, স্যান্ডেল, বুট, কন্টেইনার, ওয়াটার স্কিন, ব্যাগ সহ আরো অনেক জিনিস । ইয়েমেন, হিজাজের আল তাইফ, কর্ডোভা, মরক্কো এবং কায়রোর কারখানাগুলো হতে চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যাদি বিদেশে রপ্তানী করা হতো ।

 

#IGSRC

 

তথ্যসূত্র:

  1. Various (17 September 2020). The Vegetable Tanning Process – A Collection of Historical Articles on Leather Production. Read Books Limited. ISBN 9781528764384.

  2. Jump up to:ab “Tanning–leather manufacturing”. Encyclopedia Britannica.

  3. ^Mengistie, E; Smets, I; Van Gerven, T (September 2016). “Ultrasound assisted chrome tanning: Towards a clean leather production technology

  4. tv/the-science-and-culture-of-islamic-spain

  5. History of Arabs: p.k Hitti, London, 1972